বিদেশ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে আবারও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দশম দিনের মতো গণবিক্ষোভ চলছে। এদিকে, বিক্ষোভ দমনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কটি এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দেশটির টেলিযোগাযোগ সংস্থা জানিয়েছে তাদেরকে নিদৃষ্ট সময়ের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কোচিতে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। রোববার সন্ধ্যার পরই দেশটির ইয়াঙ্গুন, মিতকিনা এবং রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু বাণিজ্যিক এলাকায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে সেনাটহল। এদিকে, নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে, মিয়ানমারে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা না চালাতে সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও রাস্তা ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা। দেশটির রেলকর্মীরা কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ায় মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার সরকারি কর্মীরা কাজে যওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের অনেককেই জোর করে ধরে নিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Leave a Reply